New rules of Headmaster/ Headmistress Recruitment 2020

প্রয়োজন নেই কোনো লিখিত পরীক্ষা, পদোন্নতির মাধ্যমেই হবে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ

New rules of Headmaster/Headmistress Recruitment, 2020
               
এবার থেকে লিখিত পরীক্ষা আর নয়, এবার নির্দিষ্ট কাজের অভিজ্ঞতা (Experience) থাকলে পদোন্নতির মাধ্যমেই হওয়া যাবে প্রধান শিক্ষক। নিজের বাড়ির কাছের ঠিক পছন্দের স্কুলেই করা যাবে আবেদন। এর ফলে পরীক্ষার্থীকে আর কোন লিখিত পরীক্ষার জন্য পড়াশুনা করার প্রয়োজন হবে না। খুব তাড়াতাড়ি এই নতুন নিয়ম কার্যকর করতে চলেছে রাজ্য স্কুলশিক্ষা দফতর।

এতদিন পর্যন্ত সর্বপ্রথমে লিখিত পরীক্ষা (Written Examination), তারপরে ইন্টারভিউ (Interview) এবং সবশেষে কাউন্সেলিং (Counselling) প্রক্রিয়া শুরু হতো। এর ফলে একটা নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে দীর্ঘ সময় ব্যয় হতো। ফলে বিদ্যালয়গুলো প্রধান শিক্ষক /শিক্ষিকার অভাবে খুব ভুগত। এই সব কথা মাথায় রেখেই রাজ্য স্কুলশিক্ষা দফতর প্রধান শিক্ষক নিয়োগের পদ্ধতি বদল করছে।

কিন্তু কিভাবে নিয়োগ হবে প্রধান শিক্ষক ? যা জানা গিয়েছে, তা হল-
  • এখন থেকে আর কোনরূপ  লিখিত পরীক্ষা দেওয়ার প্রয়োজন নেই।
  • আবেদনকারীর অবশ্যই মাধ্যমিক বা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দশ-বছরের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
  • আবেদনকারী পশ্চিমবঙ্গের যে কোনও বিদ্যালয়ের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
  • শুধুমাত্র পদোন্নতির মাধ্যমেই প্রধান শিক্ষক/শিক্ষিকা পদে নিয়োগ করা হবে।
  • ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক পদে কাজ করলে তার অভিজ্ঞতার জন্য বাড়তি নম্বর দেওয়া হবে।
  • শিক্ষাগত যোগ্যতা সহ অন্যান্য যোগ্যতা পর্যবেক্ষন করে প্রধান শিক্ষকের তালিকা তৈরি করা হবে।
  • বাড়ির কাছাকাছি স্কুলে নিয়োগে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
রাজ্যের নতুন নিয়োগ পদ্ধতিকে অনেকেই সাধুবাদ জানিয়েছেন। কারণ এর ফলে নিয়োগ প্রক্রিয়া দ্রুত হবে। তবে অনেকেই আশংকা প্রকাশ করছেন, এর ফলে নিয়োগ ব্যবস্থায় সরকারি প্রভাব খাটানোর কিছুটা সুযোগ থাকছে।

At a glance 'Headmaster Recruitment'

  • এখন থেকে প্রধান শিক্ষক/শিক্ষিকা পদের জন্য আর কোনরূপ লিখিত পরীক্ষা দিতে হবে না।
  • আবেদন কারীর অবশ্যই মাধ্যমিক বা উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলে 10 বছরের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
  • আবেদনকারী যে কোন বিদ্যালয়ের জন্যই আবেদন করতে পারবেন।
  • কেবল মাত্র পদোন্নতির মাধ্যমেই প্রধান শিক্ষক/শিক্ষিকা পদে নিয়োগ করা হবে।
  • সিনিয়রিটি ও অন্যান্য যোগ্যতার নিরিখে প্রধান শিক্ষক/শিক্ষিকা নিয়োগ করা হবে।
  • ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক পদে কাজ করলে তার অভিজ্ঞতার জন্য অতিরিক্ত নম্বর দেওয়া হবে।
  • শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং অন্যান্য যোগ্যতা মূল্যায়নের মাধ্যমে প্রধান শিক্ষক/শিক্ষিকার তালিকা তৈরি করা হবে।
  • বাড়ির কাছাকাছি স্কুলে নিয়োগে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।